‘টগর’ সিনেমার শুটিং শুরুর আগে, দীঘি বাদ পড়ার পর পরিচালক আলোক হাসান তাঁর অপেশাদার আচরণের কথা উল্লেখ করেছিলেন। তবে দীঘি এ অভিযোগে একমত হননি। তিনি বলেন, “যে অপেশাদার আচরণ বলা হয়েছে, আমি তাতে একমত নই। ‘জংলি’ ছবির টিজারে দেখানো হয়েছে, আমি অপেশাদার হলে এমন দৃশ্য গ্রহণ করতাম না।” দীঘি আরও যোগ করেন, হয়তো পরিচালকের কাছে তিনি অপেশাদার মনে হতে পারেন, কিন্তু তাঁর সঙ্গে কাজ করা অন্যান্য পরিচালকরা কখনো এমন অভিযোগ করেননি।
দীঘি জানান, 'টগর' থেকে বাদ পড়ার বিষয়টি তার কাছে খুবই স্বাভাবিক। তিনি বলেন, “এটা বলিউডসহ অনেক দেশে ঘটে থাকে। পরিচালকের স্বাধীনতা আছে, এবং আমি তার সিদ্ধান্তকে সম্মান করি।” তিনি আরও বলেন, তার পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা ছিল না এবং শ্যাম বেনেগালের মতো পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে, যেখানে কখনো অপেশাদার আচরণের অভিযোগ ওঠেনি।
যুক্তরাষ্ট্রে থাকার কারণে যোগাযোগে সমস্যা হয়েছিল বলে জানান দীঘি। তিনি বলেন, "যতটা সম্ভব যোগাযোগে ব্যাঘাত হয়েছিল, তবে এখন আমি বুঝতে পারছি, ওই সময়টা পরিচালকের কাছে কঠিন ছিল।" তবুও, তিনি ‘টগর’ টিমের প্রতি শুভকামনা জানিয়ে বলেন, “যদিও আমি ছবিতে কাজ করতে পারিনি, তবুও তাদের গল্প এবং কাস্টিং শক্তিশালী, আমি চাই তাদের কাজ সফল হোক।”